বগুড়া অফিস/নন্দীগ্রাম সংবাদদাতা, ফার্স্ট নিউজ বিডি :
বাংলাদেশের মাটিতে শুধু ধান ও পাট নয়, সৌদি আরবের রসালো খেজুরও ফলানো
সম্ভব। প্রমাণ করতে অদম্য উৎসাহ নিয়ে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল
ইউনিয়নের তুলাশন এলাকায় সৌদি আরবের নানান জাতের রসালো খেজুরের বাগান গড়েছেন
সৃজনশীল শিল্পী আব্দুর রউফ হিরো। খেজুর চাষ করে সাফল্যের আশায় দিন পার
করছেন তিনি।
জানা গেছে, সৃজনশীল শিল্পী আব্দুর রউফ হিরোর তিন বিঘা জমিতে গড়ে তোলা
বাগানটিতে সৌদি আরবের নানান জাতের সাড়ে ৪শ’ খেজুর গাছ রয়েছে। ১৯৭৬ সালে
জন্ম নেয়া আব্দুুর রউফ হিরো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে চারুকলা
বিভাগ থেকে বিএফএ পাস করেন। এরপর কোথাও কোন চাকরি না পেয়ে ১৯৯৯ সালে সৌদি
আরবে যান। সেখানে বেসরকারী একটি কোম্পানীতে ডিজাইনার হিসেবে চাকরিতে যোগ
দেন তিনি। এর কিছুদিন পর সেখানকার মরুভূমিতে খেজুরের গাছ দেখে তিনি মনে মনে
পরিকল্পনা করেন বাংলাদেশের মাটিতে খেজুরের চাষ করার কথা। এক্ষেত্রে
ময়মনসিংহের ভালুকাতে গড়ে তোলা মোতালেব হোসেনের খেজুর বাগান তাকে অনুপ্রাণিত
করে। আব্দুর রউফ হিরো জানান, ২০০৮ সালে সৌদি আরবের উন্নত জাতের কিছু খেজুর
সঙ্গে নিয়ে দেশে ফেরেন তিনি। ওই খেজুরের বীজ দিয়েই শুরু হয় সৌদি আরবের
খেজুরের বাগান। বাগানটির নাম দেওয়া হয় ‘মা সৌদি খেজুরের বাগান ও নার্সারি’।
গত বছর বাগানের ৮টি গাছে খেজুর আসে। সেই তুলনায় এবার দ্বিগুণ খেজুর ধরেছে।
তিনি যখন খেজুরের বাগান শুরু করেন তখন তার পরিবার ও গ্রামের অনেক লোকই
তাকে বিভিন্নভাবে এ কাজ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। অনেকেই বলেছিলেন,
বাংলাদেশের মাটিতে সৌদি আরবের খেজুর বাগান কোনভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু তার
মাথায় কবির সেই অমর বানী, ‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’। সকলের মত উপেক্ষা
করে খেজুর বাগান গড়ে তোলেন তিনি। গত বছর যখন খেজুরের গাছে খেজুর আসতে শুরু
করে সবার মনে আশার সৃষ্টি হয়। আগামীতে আড়াই বছর বয়সী শতাধিক খেজুরের গাছে
খেজুর আসবে বলে আশা করছেন আব্দুর রউফ হিরো।
No comments:
Post a Comment