সরেজমিনে কাশিমনগর গিয়ে জানা যায়, বেলাব উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের তাজুল ইসলাম প্রায় ১৪ বছর দুবাইতে কাটিয়ে ২০১৪ সালে দেশে ফিরে আসেন। সঙ্গে আনেন আরব আমিরাতের খেঁজুরের চারা ও বীজ। পরে এক বিঘা জমিতে ১৫ হাজার চারা তৈরি করেন তিনি। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বকরি জাতের চারা বেশী উৎপাদিত হয়েছে।
তিনি মনে করেন গাছে ভাল ফলন হলে ১৪ বছরের বিদেশে তার যে আয় হয়েছে তা দুই বছরেই সম্ভব। তার এই উদ্যোগে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন এলাকার অন্যান্য চাষিও।
এদিকে খেঁজুর উৎপাদনে আগামীতে এদেশেও সাফল্য সূচিত হবে বলে আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
বেলাব উপজেলা কৃষি অফিসার কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাজুল ইসলামের উদ্যোগে বিদেশি খেঁজুর বাংলাদেশে ফলাতে পারলে দেশের খেঁজুরের চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।ভাল পরিচর্যার মাধ্যমে ৫ থেকে ৬ বছরে মধ্যে ভাল ফলন আশা করা যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাজুল ইসলামের জমিতে ১৫ হাজার চারা আছে, তা যদি সারাদেশে পৌছেঁ দেওয়া সম্ভব হয় তবে ১৫ হাজার কৃষক পরিবার চাষের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে। ইতোমধ্যেই এলাকাবাসী অনেকেই তাজুল ইসলামের এ উদ্যোগ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে খেঁজুর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।’
নরসিংদীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘তাজুলের সাফল্য সমগ্র জেলায় ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
No comments:
Post a Comment